এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ ক্রিকেট খেলায় চমক সৃষ্টি করে স্থানীয় স্বরূপকাঠি পৌরসভার রাজনীতির মাঠে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স দেখিয়ে আবারও দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত। শত বাঁধা অতিক্রম করে সুনিপুণ কারিগর হয়ে একটা চমক সৃষ্টি করে প্রমাণ করেছে স্বরূপকাঠি পৌরসভার রাজনীতির মধ্যে একজন পাকা খেলোয়াড়। মাথা ঠান্ডা রেখে কঠিন ছক করে শেষ হাসি মেয়র প্রার্থীর যুদ্ধে জয়ী হয়ে। আর হ্যা আমরা বলছিলাম স্বরূপকাঠি পৌরসভার বর্তমান সময়ে একজন চমৎকার নেতা জি এম কবিরের কথা। সুক্ষ মনিটরিং সহ ব্যাটিং , বোলিং ও ফিল্ডিং দিয়ে স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচনে একটা ইতিহাস সৃষ্টি করে মহা নায়ক হয়েছে। বি এন পির শক্তিশালী এলাকায় বি এন পির মেয়র প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ কে বিপুল ভোটে পরাজিত করার মিশনে সফলতা অর্জনের চমক ছিল। তবে বড় চমক সময়ের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান কে পরাজিত করা। যদিও প্রশাসন সহ সকল পিন্ট্র মিডিয়া ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার জরিপে নৌকার স্থান ছিলো তৃতীয় স্থানে। প্রথম অবস্থানে ছিল সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ মাহমুদুর রহমান খান, দ্বিতীয় স্থানে ছিল সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। অথচ শেষ সময়ে চমক সৃষ্টি করে পৌর ভোটারদের ভোটে প্রথম হয়েছে নৌকার প্রতিকের মেয়র জি এম কবির। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইতিহাস সৃষ্টি করা স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচন। ৩৯৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নৌকার প্রার্থী মোঃ গোলাম কবির নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল সেট প্রতিকের প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহমুদুর রহমান খান। মোবাইল সেট প্রতিক ভোট পেয়েছে ৩১৪৪ ভোট , ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ ভোট পেয়েছে ৯৭৩, সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছে ১৯৯৪, আর এক সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী স্বরূপকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিশির কর্মকার জগ মার্কা নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোট পেয়েছেন ৮৩৪ ও জাপা প্রার্থী মোঃ নূরুল ইসলাম নূরু লাঙ্গল প্রতীকের হয়ে ভোট পেয়েছে মাত্র ৫১ ভোট। কাউন্সিলর হিসেবে ১নং ওয়ার্ডের মধ্যে চমক সৃষ্টি করে অনুজ আচার্য প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হয়েছে। ২নং ওয়ার্ডের মধ্যে শিল্পপতি মিয়া মোঃ ওহাবেকে দ্বিতীয় বারের মতো পরাজিত করে দারুণ সফলতা অর্জনের কারিশমা দেখায় মোঃ শাখাওয়াত হোসেন স্বপন। তবে যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে দ্বিতীয় বার বিপুল ভোটে ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল র নির্বাচিত হয়। তবে নির্বাচন শেষে বিজয়ী মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম বাবুকে পরাজিত প্রার্থী শাজাহান মিয়ার সমর্থন কারীরা শারীরিক ভাবে আঘাত করে কলঙ্কের কালিমা স্থাপন করে। ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মোঃ মাসুদ রানা পলাশ। ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে চমক সৃষ্টি করে প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হয় মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (জামান কাজী)। ৬নং ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হয় মোঃ মেজবাহুল ইসলাম। ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে বার বার নির্বাচনে জয়ী হওয়া কাউন্সিলর মোঃ নূরুল ইসলাম এবং ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় জনপ্রিয় মোঃ শামীম হোসাইন আউয়াল। তবে পৌর সভার মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিল প্রার্থী মোঃ রেজাউল করিম মন্টুর মৃত্যুতে আপাতত স্থগিত করা হয়। এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের (১নং,২নং ও ৩নং) ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মোছাঃ মারজান ফেরদৌস কচি, ৪নং, ৫নং ও ৬নং নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মোসাঃ দিলারা বেগম ও ৭নং, ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিজয়ী হয় মোসাঃ নার্গিস। সর্বশেষ তথ্য মতে এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ৬ জন, কাউন্সিলর হিসেবে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১২ জন কাউন্সিল প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply